– প্রতিবেদকঃ ধূসর আসিফ।
টানা ৩৫ দিন যাবত শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ থমকে আছে। বন্ধ হয়ে আছে শিক্ষাকার্যক্রম। শুধুমাত্র প্রফ পরীক্ষা এর আওতামুক্ত আছে। সকল ছাত্রছাত্রীর মনে গভীর উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা কাজ করছে। কয়েকবার ক্লাস শুরুর ঘোষনা দিয়েও ক্লাস শুরু করা সম্ভব হয় নি। আগামী শনিবার থেকে আবারো ক্লাশ শুরুর ঘোষনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আদৌ ক্লাস শুরু হবে কিনা সে ব্যাপারে অনেকেই সন্দীহান। এর আগে জীর্ণশীর্ণ পুরাতন হোস্টেলের পাশেই নতুন একটি হোস্টেলের নির্মানকাজ শুরু করলে পুরাতন হোস্টেলের পলেস্তার ও সিলিং খসে পরতে থাকে এবং ভূমিকম্পের ন্যায় কাঁপতে শুরু করে। কতৃপক্ষ শুরুতে তেমন আমলে না নিলেও শেষ পর্যন্ত ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ বিগত ১০ফেব্রুয়ারী সাময়ীক বন্ধ ঘোষনা করা হয় এবং পত্রপাঠ হোস্টেল খালী করার নির্দেশ দেয়া হয়। এতে প্রফ পরীক্ষার্থীরা ভয়ানক সমস্যায় পরে যায়। তারা অন্যান্য হোস্টেলে উঠে কোনরকমে পরীক্ষা শেষ করে। এদিকে বিভিন্ন উতস থেকে জানা যায়, পুরাতন ছাত্রী হোস্টেলটি এখন পুরোপুরি বসবাসের অযোগ্য। ছাত্রীদের অন্যকোন নিরাপদ জায়গায় ওঠানোর পরিকল্পনা চলছে। এরই পরিপ্রেক্ষীতে ক্যাম্পাসে নার্সিং ইন্সটিটিউটেরর নবনির্মিত একটি ভবনে সাময়ীকভাবে ছাত্রীদের তোলার ব্যাপারে কথাবার্তা চলতে থাকে এবং সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও এ ধরনের সিদ্ধান্তই দেয়া হয়েছে বলে শোনা গেছে। উল্লেক্ষ যে, নবনির্মিত ভবনটি এখন পর্যন্ত অব্যবহৃতই ছিল। এদিকে এর বিরুদ্ধে নার্সরা আন্দোলনে মাঠে নেমেছে। ইতোমধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার অপূরনীয় ক্ষতী হয়ে গেছে। বিশেষ করে যাদের আগামী মে এবং জুলাইয়ে প্রফ তারা ভয়ংকর দুশ্চিন্তায় দিন গুনছে। পথমদিকে ছুটি পেয়ে সবাই যারপরনাই খুশী হলেও সেই ছুটিই এখন সবার গলায় কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে। আশা করছি খুব দ্রুতই শেবাচিমের এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান দেখা যাবে।