সকালে সরকারি হাসপাতালের ডেন্টাল টেকনিশিয়ান আর বিকেলেই বনে যান তিনি দাঁতের বড় ডাক্তার। ব্যস্ততম সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে সাভার ডেন্টাল কেয়ার নাম দিয়ে ডেন্টাল চেম্বার খুলে নামের আগে ডাক্তার লাগিয়ে ডেন্টাল সার্জন সেজে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল টেকনিশিয়ান আব্দুল মালেক। তাঁর সঙ্গে রেখেছিলেন আরেক ভুয়া ডেন্টাল সার্জন আবু তৈয়ব সুমনকে। শুধু এরাই নয়, ভুয়া ডেন্টাল সার্জন সেজে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন এদের মতো আরো কয়েকজন ভুয়া ডেন্টাল সার্জন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যনত্ম সাভারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুইজনসহ ১০ ভুয়া ডেন্টাল সার্জনকে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর কম্পানি কমান্ডার মো. ইব্রহীম খলিলের নেতৃত্বে র্যাবের একটি বিশেষ দল সাভারের জাতীয় অন্ধ সংস্থা মার্কেট, পল্লী মার্কেট ও বাজার রোডের বিভিন্ন ডেন্টাল ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন সাভার ডেন্টাল কেয়ারের আবু তৈয়ব সুমন, চৌধুরী ডেন্টাল কেয়ারের আনিসুজ্জামান, সেবা ডেন্টাল কেয়ারের আবুল কালাম, মর্ডান ডেন্টাল কেয়ারের মনির হোসেন, নিউ ডেন্টাল কেয়ারের শাহিনুর আলম ও আব্দুল আজিজ খানকে গ্রেপ্তার করে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পদ্মা ডেন্টাল কেয়ারের নবাব মিয়া, সাহারা ডেন্টাল কেয়ারের একেএম সামসুল হক, মেরিনা ডেন্টাল কেয়ারের মনিরা আক্তার ও সাভার ডেন্টাল কেয়ারের আব্দুল মালেককে ছয় মাসের কারদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
র্যাবের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট আল আমিন বলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২২ এবং ২৯ ধারারা মতে ডাক্তারি লাইসেন্স না থাকা ও অবৈধভাবে নামের আগে ডাক্তার বসিয়ে ব্যবস্থাপত্র প্রদান করে রোগীদের সাথে প্রতারণা করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের কারোই বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নেই। এরা কেউ এসএসসি কেউবা মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি আবার কেউবা ডেন্টাল সার্জনের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
(কালের কন্ঠ থেকে)