সব পিপিই সুরক্ষা দেয়ার উপযোগী নয়, প্রয়োজন শক্ত মনিটরিং এর

২৬ মার্চ ২০২০: কোভিড-১৯ বিশ্ব মহামারি প্রতিরোধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন যারা, তারা হলেন নিরলস পরিশ্রম করে যাওয়া চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী। আর তাই করোনাভাইরাস দিয়ে সংক্রমিত হবার ঝুঁকিও সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের। এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন যথাযথ সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম বা পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই)।

অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত অধিকাংশ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছেই যথাযথ পিপিই পৌঁছে নি। এ অবস্থায় চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবি নিয়ে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে। কেউ সুযোগ দিচ্ছেন ব্যক্তিগতভাবে পিপিই ক্রয়ের, কেউ বা নিজেরাই অনুদান হিসেবে দিচ্ছেন পিপিই।

তবে, যেকোনো গাউন, মাস্ক, গ্লাভস দিয়েই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা যাবে না। এর জন্য প্রয়োজন যথাযথ কাপড়, সেফটি লেভেল, জীবাণু ও রাসায়নিক প্রতিবন্ধকতা, নির্দিষ্ট ওজন, নির্দিষ্ট সেলাই বৈশিষ্ট ও যথাযথ ব্যবহার নিয়বামলী। সেবার নামে ব্যাবসা করার কোন সুযোগ এখানে নেই, এর পরিণাম বরং হতে পারে ভয়াবহ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী করোনাভাইরাস প্রতিরোধী পিপিই এর নিম্নবর্ণিত বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক:
Single use, fluid resistant, disposable, length mid-calf to cover the top of the boots, light colors preferable to better detect possible contamination, thumb/finger loops or elastic cuff to anchor sleeves in place.

Option 1: fluid penetration resistant: EN 13795 high performance, or AAMI PB70 level 3 performance or above, or equivalent

Option 2: blood borne pathogens penetration resistant: AAMI PB70 level 4 performance, or (EN 14126-B) and partial body protection ( EN 13034 or EN 14605), or equivalent.

ছবিতে অনুদান হিসেবে দেয়া একটি গগলস দেখা যাচ্ছে, যার প্লাষ্টিক ব্যবহার শুরুর সাথে সাথেই খুলে গিয়েছে

পিপিই এর নামে নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহার করে একদিকে চিকিৎসক ও নার্সগণ নিজেরা যেমন ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন, তেমনি নিজেদের পরিবার-স্বজনদের ও অন্য রোগীদেরও ঠেলে দিচ্ছেন এই ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে।

চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তাই পিপিই গ্রহণ ও ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকাশিত গাইডলাইন থেকে পিপিই ব্যবহারের নিয়মাবলী, মানসিক চাপ দূর করা, কুসংস্কার, করেনায় মৃত রোগীর দাফন, বাড়ীতে থেকে চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা রাখা প্রয়োজন। যারা বিনামূল্যে সরকার বা জনগনকে পিপিই দিচ্ছেন, তাদের মানবিক সাহায্যে আপ্লুত হবার পূর্বে তাদের সরবরাহকৃত পিপিই কাদের বা কোন অবস্থায় ব্যবহারযোগ্য, কোন পর্যায়ের সুরক্ষা দেয়, কিভাবে ডিসপোজ করা হবে বা পুনঃব্যবহার করা হবে (যদি করা যায় তবে জীবাণুমুক্তকরণ ব্যবস্থা কিভাবে হবে) ইত্যাদি বিষয়ে জেনে নিতে হবে।

যে কোন ঝুকি মোকাবেলার সময় সরকার এবং জনগণকে মানবিক সহায়তা দানে এবং গ্রহণে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সকল ধরনের পিপিই সকল ধরনের ঝুকির সুরক্ষা দিতে পারে না। পিপিই এর উৎপাদন, বিপনন, বিতরণ, গুণগত মান নিশ্চিতকরণে চাই শক্ত মনিটরিং।

কৃতজ্ঞতা:
ডা. মো. রিজওয়ানুল করিম শামীম
সহযোগী অধ্যাপক, ইপিডেমিওলজি
প্রোগ্রাম ম্যানেজার, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী (এনসিডিসি), স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর

Platform

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.

Next Post

চিকিৎসকদের জন্য জারি অন্যায় আদেশ বাতিল

Thu Mar 26 , 2020
২৬ মার্চ ২০২০: গতকাল ২৫ মার্চ রোজ বুধবার বাংলাদেশ সরকার সকল প্রকার হাসপাতালে রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা, জরুরি চিকিৎসা, রোগী ভর্তি ও ভর্তিকৃত রোগীর চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করার জন্য সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন এবং একটি আদেশ জারি করেন যে, কোনো হাসপাতাল এই নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে টহলরত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা কিংবা […]

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo