প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৮ই নভেম্বর, ২০২০, বুধবার
এএসপি আনিসুল করিম শিপনের অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় গতকাল একজন সরকারি চিকিৎসা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ১৭ই নভেম্বর, ২০২০ ইং তারিখে মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পুলিশের সাদা পোশাকের একটি দল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে। পরবর্তীতে তাঁকে উক্ত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মূলত, গত ৯ই নভেম্বর সকাল সাড়ে ৭.০০ টার দিকে এএসপি আনিসুলকে তাঁর কর্মস্থল থেকে ঢাকায় এনে তাঁর স্বজনরা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত হাসপাতালটির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন রোগীকে চিকিৎসা পরামর্শ দেন। পুলিশের বক্তব্যমতে জনাব আনিসুলের হত্যাকান্ডে ডা. মামুনের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখতেই এই জিজ্ঞাসাবাদ ও গ্রেপ্তার।
এদিকে, তদন্তকালীন সময়ে তড়িঘড়ি করে একজন সরকারি কর্মকর্তাকে তার নিজ হাসপাতালে দায়িত্বপালনজনিত কারণে গ্রেপ্তার করায় প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ জানিয়েছে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ সাইকিয়াট্রিস্ট(বিএপি)। এসোসিয়েশনটির কার্যকরী কমিটি গ্রেফতার ঘটনার পরপরই জরুরী ভিত্তিতে এক সভার আহ্বান করে। ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনের গ্রেপ্তারের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগের মধ্যে দিয়ে এসোসিয়েশন নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত সমূহ গ্রহণ করে:
১. ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আইনি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে দ্রুত মুক্ত করে আনার ব্যবস্থা করা।
২. ডা. আব্দুল্লাহ মামুনকে গ্রেপ্তারের এই অনভিপ্রেত ঘটনার নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালকের মাধ্যমে বিবৃতি প্রদান।
৩. অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে স্বাচিপ ও বিএমএর সাথে যোগাযোগ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন।
৪. পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে এহেন দুঃখজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানানো। পুলিশ এবং মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট সরকারেরই দুটো সংস্থা। কোন কারণে এদের মুখোমুখি দাঁড় না করানোর জন্য সতর্ক করা।
৫. ডা. মামুন এর পরিবারের সার্বিক সহযোগিতার জন্য অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ হতে তাঁদের পাশে থাকা ও যোগাযোগ অব্যাহত রাখা।
সেইসাথে পরিশেষে, বর্তমান সময়ের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএমএ এর পক্ষ হতে সাধারণ চিকিৎসকদের আস্থার জায়গায় অনুপ্রবেশ করার আহ্বানও জানায়
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ সাইকিয়াট্রিস্ট।