বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বুলেটিন ২০১৮ এ উঠে এসেছে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসমূহে ভয়াবহ শয্যাসংকটের চিত্র। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর বেড অকুপেন্সি বা শয্যাপ্রতি রোগীর গড় হার ১৫৩.৫৭ শতাংশ।
সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসমূহে চালু থাকা শয্যার তুলনায় ভর্তি থাকে কয়েকগুণ বেশি রোগী। ফলে অতিরিক্ত এ রোগীদের ঠাঁই হয় হাসপাতালের বারান্দায় ও করিডোরের মেঝেতে। এ তালিকার শীর্ষে আছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এখানে শয্যার দ্বিগুণের চেয়েও বেশি রোগী ভর্তি থাকেন নিয়মিত।
ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগীর সেবা প্রদান করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার হাসান মাহমুদ বলেন, “চিকিৎসক ও নার্সরা অনেক আন্তরিক থাকার পরও প্রতিদিন বাড়তি রোগীর চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।”
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, “হাসপাতালে শয্যাসংকট কাটাতে এরই মধ্যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে পাঁচ হাজার শয্যায় উন্নীত করা হবে। অন্যান্য হাসপাতালেও শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলা হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো হবে, যাতে মেডিকেল কলেজগুলোর ওপর চাপ কমে আসে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর চাপ কমিয়ে আনতে রাজধানীতেও বিশেষায়িত হাসপাতাল গড়ে তোলা হচ্ছে।”
প্ল্যাটফর্ম ফিচার রাইটার:
সামিউন ফাতীহা
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর