শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর অর্ধেকের কাছাকাছি (৪৩ শতাংশ) শিক্ষক পদ শূন্য আছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস)-এর সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে। এমআইএস বলছে, দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর ৪২ দশমিক ৬০ শতাংশ শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মোট ৬ হাজার ৪৪৬টি শিক্ষকের পদের মধ্যে ২ হাজার ৭০০টি পদ শূন্য। সবচেয়ে বেশি সংকট রয়েছে অধ্যাপক পদের ক্ষেত্রে, যেখানে ৬৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ পদ শূন্য রয়েছে।
এছাড়া, সহকারী অধ্যাপকের ৭৩৫টি পদের মধ্যে ১ হাজার ৬৩৪টি এবং সহযোগী অধ্যাপকের ২ হাজার ৪৫৩টি পদের মধ্যে ১ হাজার ২৫০টি শূন্য রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জেলায় জেলায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হলেও অবকাঠামোর উন্নয়ন বা শিক্ষক ঘাটতি পূরণ হয়নি। আবার অনেক মেডিকেল কলেজের সাথে হাসপাতাল নেই। এসব সংকটের কারণে সরকারি মেডিকেল থেকে অদক্ষ ডাক্তার বের হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান বলেছেন, ‘মেডিকেল কলেজে একজন শিক্ষক তৈরি হতে ৫-৭ বছর সময় লাগে। এনাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, ফার্মাকোলজি, কমিউনিটি মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, ফরেনসিক মেডিসিন ও ভাইরোলজি—এই আটটি বেসিক বিষয়ের শিক্ষক সংকট সবচেয়ে বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাইনি ও কার্ডিওলজির মতো ক্লিনিক্যাল বিষয়ে তেমন সংকট নেই। কিন্তু বেসিক বিষয়ের ক্ষেত্রে গবেষণা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ কম থাকায় শিক্ষার্থীদের এসব বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার হার কম। আমরা বেসিক সাবজেক্টে শিক্ষক তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছি, তবে এটির ফল পেতে ৩-৫ বছর সময় লাগবে।’
উল্লেখ্য, দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষক সংকট শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে, যেখানে ৩৪৩টি পদের মধ্যে ২০৬টি শূন্য। এরপর রয়েছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, যেখানে ৩৫৪টি পদের মধ্যে ১৭২টি শূন্য। সবচেয়ে কম সংকট মুগদা মেডিকেল কলেজে, যেখানে ১১৭টি পদের মধ্যে ২৩টি শূন্য।
প্ল্যাটফর্ম/এমইউএএস