সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে জেনারেটর দিয়েছেন চিকিৎসক দম্পতি। বৃহস্পতিবার এক অনাড়ম্ভর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঐ চিকিৎসক দম্পতি সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ রফিকুল ইসলামের হাতে জেনারেটর তুলে দেন। চিকিৎসক দম্পতি হলো সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুল্লাহ আল কাফি ও ডাঃ মাহফুজা আক্তার। জেনারেটর দিয়ে জরুরী মুহুর্তে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ও নবজাতকের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
সূত্র জানায়, জেলার ২২ লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য জেলা শহরে অন্যতম হলো সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল। সাতক্ষীরা শহরে মেডিকেল কলেজ থাকলেও জরুরী বিভাগ সেখানে চালু হয়নি।
অন্যদিকে, নির্ধারিত সময়ের আগে জন্ম নেওয়া শিশুর জন্য জেলার একমাত্র নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র আছে সদর হাসপাতালে। সেখানে নবজাতকদের বিশেষ পদ্ধতিতে তাপ দিয়ে সুস্থু রাখা হয়। সদর হাসপাতালে দুই লাইনের বিদ্যুৎ থাকার পরেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিশেষ মুহুর্তে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। ফলে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়। অপরদিকে, এই দুই বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরার ভোগান্তিতে পড়েন। সম্প্রতি এ বিষয়টি নিয়ে তাড়না দেয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে কর্মরত এই চিকিৎসক দম্পতির। ৩৪তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) পাশ করা ডাঃ সাইফুল্লাহ আল কাফি ও ৩৬তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) পাশ করা ডাঃ মাহফুজা আক্তার সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের সাথে পরামর্শ করে বৃহস্পতিবার জেনারেটর তুলে দেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুল্লাহ আল কাফি জানান, সম্প্রতি আমাদের বাচ্চাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তখন আমরা রোগীদের দুরবস্থার বিষয়টি আরো ভালো ভাবে বিষয়টি অনুধাবন করি। জেনারেটরের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করার বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানানোর হলে তার পরামর্শে নিজেদের অর্থে ক্রয় করে হাসপাতালে দিই। তিনি আরো বলেন, জেনারেটর দিয়ে জরুরী মুহুর্তে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ও নবজাতকের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এতো সেবা গ্রহীতার কিছুটা হলেও ভোগান্তি কম পাবে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের উদ্যোগটি চমৎকার। চিকিৎসরা এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করলে আরো বেশি মানুষ সেবা পাবে।
মোঃ সদরুল কাদির (শাওন), সাতক্ষীরা,সংবাদবিডি।