সোমবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতালে প্রথমবারের মতো আটজন শিশু হৃদরোগীর দেহে ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে এই প্রথম কোনো হাসপাতালে এ ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) ৩ জন ও রবিবার (০১ ডিসেম্বর) ০৫ জনসহ মোট ০৮ শিশুর শরীরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এ ডিভাইস স্থাপন সম্পন্ন হয়।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানান, হার্টের জন্মগত অস্বাভাবিক ছিদ্র বন্ধ করা, রক্তনালীর স্বাভাবিকীকরণ – এএসডি (অ্যাট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট), ভিএসডি (ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট) এবং পিডিএ’র (প্যাটেন্ট ডাক্টাস আটারিওসাস) চিকিৎসার জন্য এ ডিভাইস লাগানো হয়েছে।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ক্যাথল্যাবে এই অপারেশনগুলো সম্পন্ন হয়। জানা গেছে, সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের ‘মন্তাদা এইড’ এবং রাজধানীর ‘বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল’ও এ কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তায় করেছে। দু’দিনব্যাপী চলা এ কার্যক্রম শনিবার (৩০ নভেম্বর) শুরু হয়ে রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকালে সমাপ্ত হয়।
হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মোখলেছুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, “ওসমানী মেডিকেলের ক্যাথল্যাবে বড় হৃদরোগীদের শল্য চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শিশু হৃদরোগীদের জন্য এ কার্যক্রম চালু হাসপাতালের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।”
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. উমর রাশেদ মুনির গণমাধ্যমকে বলেন, সিলেটের শিশু চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হলো। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লক্ষ্য রেখে শিশুদের অন্য রোগের জটিলতার বিষয়টি মাথায় রেখে আটজন শিশুর শরীরে অস্ত্রোপাচার করে ডিভাইস স্থাপন নিঃসন্দেহে মাইলফলক। এই কৃতিত্ব ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু কার্ডিওলজি বিভাগের। ওসমানী হাসপাতালের কার্ডিওলজি ও শিশু বিভাগ হৃদরোগের শিশু চিকিৎসায় যে নবযাত্রা সূচনা করেছে এর ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদকঃ মঈন উদ্দীন আহমদ শিবলী