প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৩১ মে, ২০২০, শনিবার
করোনার চলমান পরস্থিতিতে একজনের সুস্থ হয়ে ফিরে আসাও যেন অনেক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ করে দেয়। সেক্ষেত্রে যদি কেউ মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসেন সেটা যে কতটা স্বস্তিদায়ক তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।
করোনার চিকিৎসায় সার্বজনীন ভাবে কোন সুস্পষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে করোনা মোকাবেলায় ট্রায়ালের অংশ হিসেবে প্লাজমা থেরাপি অন্যতম ভূমিকা রাখছে।
গত ১৮ মে, ২০২০ তারিখে প্লাজমার জন্য একটি সাহায্যের পোস্ট চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের “প্ল্যাটফর্ম” গ্রুপে দেখা যায়।
“কেউ আমাকে এক ব্যাগ কোভিড উইনারের B+ প্লাজমা দেন। আমি পায়ে পড়ি আমার বাবাকে বাঁচান।”
– পোস্টটি দিয়েছিলেন ডা. সাইফুল ইসলাম সাগর। ডা. সাগর বর্তমানে ঢাকাস্থ Square hospital এর নেফ্রোলজি বিভাগের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে আছেন।
বাবার জন্য সাহায্যের এই আকুতি মানুষের মনে কিছুটা হলেও সাড়া ফেলে। অসহায় এই চিকিৎসকের সাহায্যে এগিয়ে আসেন ডা. সাদিয়া রহমান এবং ডা. মুন রায়। বিপদের সময়ে করোনা জয়ী এই দুই চিকিসক নিজেদের প্লাজমা দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিলেন। উল্লেখ্য, ডা. সাগর ও কোভিড পজিটিভ ছিলেন।
১৯ মে জানা যায়, ডা. সাগরের বাবাকে মধ্যরাতে ১ ব্যাগ প্লাজমা ট্রান্সফিউশন করা হয়েছে এবং শারীরিক অবস্থার আর অবনতি হয়নি। তিনি আই সি ইউ তে আছেন এবং অক্সিজেনের চাহিদা কমে আসছে ধীরে ধীরে। ১২ লিটার থেকে কমে ৮ লিটার অক্সিজেন লাগছে।
২২ মে জানা যায়, এর মধ্যে ২য় ব্যাগ প্লাজমা পেয়েছেন তিনি এবং অক্সিজেন এর চাহিদা কমে ৩-৪ লিটার হয়েছে।
২৬ মে , ২০২০ তারিখে ক্রমাগত অক্সিজেনের চাহিদা কমে ১-২ লি. হয়েছে এবং আইসোলেশন ইউনিট থেকে সাধারণ কেবিনে শিফট হয়েছেন।
দীর্ঘ ৩ সপ্তাহ করোনার সাথে যুদ্ধ করে মো. ইসমাইল হোসেন কবির ( ডা. সাগরের বাবা), করোনাকে জয় করে আজ বিকেলে স্কয়ার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছেন।
ডা. সাগরের বাবার মতই আপনার দান করা প্লাজমাও বাঁচাতে পারে একটি জীবন। করোনাকে জয়ী ব্যক্তি স্বেচ্ছায় প্লাজমা দান করতে নিচের ফর্ম পূরণ করুন।
https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLSfy3zBMnOSR7klk7lTacZ02oFQT5ZUBat0XGKQ8Cyh3cLrVKA/viewform