২০১৫ থেকে ২০১৭!
বছর শেষের প্রায় দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছে গেছি। ২০১৮ আসতে বাকি আর ৭ দিন। দেখতে দেখতেই বছর শেষ।
আসুন একটু জেনে নেই আমাদের স্বাস্থ্য খাতের অর্জনগুলো কিংবা স্বাস্থ্যখাতের হালখাতা সম্পর্কে।
২০১৫ থেকে ২০১৭ এই ৩ টা বছর পর্যালোচনা করলে দেখা যায় , ২০১৭ সাল ছিল আমাদের বাংলাদেশের চিকিৎসক সমাজের জন্য অন্যতম একটি বছর । আমাদের অর্জন-বিসর্জনের একটি অন্যতম বছর আমার মতে ।
নেতিবাচক ঘটনাগুলো বাদ দিয়ে যদি ইতিবাচক দিকগুলো চিন্তা করে দেখি তাইলে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অর্জন আমাদের চোখে পরে যাবে।
এদের মধ্যে একটি ঘটনা হতে পারে , রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আমাদের দেশের চিকিৎসক কিংবা স্বাস্থ্য বিভাগের অবদান ।
২৫ শে আগস্ট হঠাৎ জানা গেল মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইন ছেড়ে পালিয়ে আসল প্রায় লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী। চলে এসেছে বাংলাদেশে। হঠাৎ করে বলা যায় একটা দুর্যোগের মত অবস্থা যেন। এত এত অসহায় মুখ ঠেলে দিতে পারি নাই । আগলে নিলাম আমরা বাঙ্গালীরা তাদের।
বাংলাদেশের সেই মুহূর্তে তাদের পাশে দাঁড়ানো ছাড়া উপায় ছিল না । সব থেকে বড় শব্দ “ মানবতা” এর ঊর্ধ্বে কিছু ছিল না।
যাই হোক এতদিন পরে এসে,আসলেই সে মুহূর্তে তাদের সাহায্য করা উচিত ছিল কি ছিল না সেই সব কথায় না যাই। কারন আমাদের থেকেও উপরে অভিভাবক রা আছেন , তারাই বুঝবেন উচিত-অনুচিতের প্রসঙ্গ।
বরং আজ একটু ভিন্ন বিষয়ে কথা বলি। তাদের স্বাস্থ্য অবস্থা , আমাদের কার্যক্রম নিয়ে এই লেখা মূলত।
গত ৫ ই সেপ্টেম্বর, প্ল্যাটফর্ম এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ডাঃ মারুফুর রহমান অপু বলেছিলেন,
“ সমতল ভূমি এবং ইমিউনাইজেশন পলিসি খুব শক্ত হওয়ায় বাংলাদেশে ভ্যাক্সিন প্রতিরোধযোগ্য রোগের প্রকোপ কম। আমরা পোলিওমুক্ত হয়েছি ২০১৪ সালে। কিন্তু মায়ানমারে অবস্থা এমন নয়।পোলিওসহ, ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস, মিজেলস, মামপস, হুপিং কফ ইত্যাদি রোগের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন কভারেজ রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলে ৭০-৮০%। সুতরাং অনুপ্রবেশকারীদের অনেকেই এই রোগ নিয়ে আসছেন। তারা যদি নির্দিষ্ট ক্যাম্পে থাকেন তাতে ঝুঁকি কিছুটা কমে। তবে যারা লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ছেন তাদের মাধ্যমে রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি অনেক।“
এই লেখাটা বেশ এলারমিং একটা লেখা ছিল। মানে সেই মুহূর্তে আমাদের নিজের স্বার্থে হোক , দেশের স্বার্থে হোক এই সকল রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এবং সেই লড়াইয়ে পুরো দায়িত্বটা কাঁধে নিয়েছিলেন আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ।
তাই সীমান্ত উপকূলবর্তী যে সকল এলাকায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটেছে এবং আরো যে সকল এলাকায় এই অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা তখন দেখা দিয়েছিল সে সকল অঞ্চলে সতর্ক অবস্থায় ছিল স্বাস্থ্যবিভাগ।
বিশেষ করে শিশুদের এবং গর্ভবতী মায়েদের অবস্থা ছিল করুন ।
যা স্বাস্থ্যবিভাগ ইতিমধ্যেই নির্মূল করেছে অনেকাংশে।এই অনুপ্রবেশের কারনে সেখানে সকল রোগের প্রাদুর্ভাব বা পুনঃসংক্রমণ এর সম্ভাবনা তৈরী হতে পারে।
৫ ই সেপ্টেম্বর এর সেই প্রতিবেদন থেকে তখন আরও জানা যায় ,টেকনাফ, উখিয়া, নাইক্ষ্যংছড়ি সহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিশেষ টিম গঠন করে মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে ইমিউনাজেশন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আর সিভিল সার্জনগণ স্টেশনে অবস্থান করে বিষয়টি তদারকি করছেন। এছাড়া স্থানীয় মাঠ কর্মীরা ইতিমিধ্যেই নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত শিশুদের সনাক্তকরণ কার্যক্রম শুরু করেছেন।
স্বাস্থ্যবিভাগের সেই কার্যক্রমের ফলাফল হলঃ কলেরা রোগ প্রতিরোধে টিকার ব্যবস্থা
১০ অক্টোবর ২০১৭, কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার জামতলী নামক স্থানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পে দুই ধাপে মোট ৯ লক্ষ ডোজ কলেরা টিকা মুখে খাওয়ানো হয় । প্রথমে ১ বছরের বেশী বয়সী সকল শিশু ও নারী-পুরুষকে এক ডোজ করে টিকা খাওয়ানো হয়। এই সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখ।তার ঠিক দুই সপ্তাহ পর ১ থেকে ৫ বছর বয়সী ২ লক্ষ ৫০ হাজার শিশুকে ২য় ডোজ কলেরার টিকা খাওয়ানো হয়।
পূর্ব হতেই আশ্রয় নেয়া ৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার সাথে আরও ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা টেকনাফ, উখিয়া এবং নাইক্ষংছড়িতে সীমিত পরিসরের দুর্গম জায়গায় আশ্রয় নেয়ায় অন্যান্য মৌলিক চাহিদার অপ্রতুলতার সাথে বিশাল সংখ্যক এই জনগোষ্ঠির নিরাপদ পানি এবং পয়োনিস্কাশন ব্যবস্থায় ঘাটতি কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাবের ঝুকিঁর সৃষ্টি করেছে। আগত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির মাধ্যমে যাতে কোন ধরনরে রোগ প্রাদুর্ভাব না ঘটে সে বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ সংক্রামক রোগসমূহের বিষয়ে তীক্ষ্ণ নজর রাখার পাশাপাশি প্রতিরেধি কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।হাম, রুবেলা এবং পোলিও রোগের টিকা দানের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ১ লক্ষ ৩৫ হাজার শিশুকে হাম-রুবেলা এবং ৭৫ হাজারের শিশুকে পোলিও টিকা প্রদান করা হয়েছে।
কিন্তু যথেষ্ট প্রচরনার অভাবে আসলে আমরা বেমালুম ভুলেই গিয়েছি যে এই স্বাস্থ্যবিভাগের অবদান কতটা মুল্যবান এই মুহূর্তে । আমরা নিজেরাই জানিনা কিভাবে দেশের একদল চিকিৎসক পরিবার পরিজন ছেড়ে প্রতিদিন এই শরণার্থীদের সুস্থতার জন্য দিনরাত এক করে দিচ্ছেন।
এবার আসা যাক বছরের অন্যতম অপর দুটি সাফল্যের ঘটনা, জোড়া শিশু তোফা-তহুরার সফল অস্ত্রোপ্রচার কিংবা মুক্তামনির সফল অস্ত্রোপচার।
মুক্তামনি, বাবা মুদি দোকানি ইব্রাহীম হোসেন জানান, জন্মের দেড় বছর পর একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর থেকে সেটি বাড়তে থাকে। এ রোগে তার ডান হাত ফুলে যায়। শরীরের অসহ্য ব্যথা ও যন্ত্রণায় মুক্তামনি বসতেও পারে না। এরপর হাতে পচন ধরে। হাতের সঙ্গে বুকের একাংশেও ছড়িয়ে পড়েছে রোগটি। দীর্ঘ নয় বছরেও মুক্তার রোগ ধরতে পারেননি চিকিৎসকরা। পরবর্তীতে বায়োপসি রিপোর্টে রক্তনালীতে টিউমার ধরা পড়েছে, যাকে ইংরেজিতে বলে ‘হেমানজিওমা’। উল্লেখ্য, সেই সময় মুক্তামনির রোগটি নিয়ে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোর্ড মিটিং করেন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা। এবং সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা পরবর্তীতে জানিয়েছিল এ রোগটি ভালো হবার নয় ও সেটি অস্ত্রোপচার করার মতোও নয়। এ পর্যবেক্ষণ জানার পর গত ০২ আগস্ট ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সভায় ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সকল ধরনের সর্তকতা অবলম্বন করে বায়োপসি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে মুক্তামনির চিকিৎসা বাংলাদেশেই চলছে এবং হাত অস্ত্রোপ্রচার দরুন হাত কেটে ফেলার আশঙ্কা করছিলেন চিকিৎসকরা সেটাও করতে হয় নি।
তোফা-তহুরা, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের অপর একটি সফলগাঁথা। আর এই ব্যপারে কম বেশি সবারই জানা। নতুন কিছু করে হয়ত বলার মত নেই তবুও ভুলে যেন না যাই তাই সামান্য মনে করিয়ে দিয়ে কিছু কথা। মা সাহিদার বুকে একটি নয় দুটি নবজাতক তুলে দিয়েছিল ধাত্রী। চার বছর বয়সী ছেলের পর একটি মেয়ে যেখানে আকাঙ্ক্ষিত, সেখানে যমজ দুটি মেয়ে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা সাহিদা-রাজু দম্পত্তি। প্রসব যন্ত্রণা মূহুর্তের মাঝে ভুলে গিয়ে নয় মাসের গর্ভের ধন বুকে নিতেই চমকে উঠে সাহিদা, শিশু দুটো কোমরের দিকে জোড়া লাগানো।
আঁতুড় ঘর থেকে প্রসূতি মায়ের কষ্ট ছড়িয়ে পরে সারা পাড়া। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জিনিয়া গ্রামের অতি সাধারণ এক গর্ভধারিণী সাহিদার প্রসব হয়েছিল নিজ বসতভিটায়, দাইয়ের হাতে। অভাবের সংসারে আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা অকল্পনীয়, গর্ভে সন্তান আসার পর একবারের জন্যেও চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি সাহিদার। যমজ শিশুদের জন্মও হয়ত অনাড়ম্বর থেকে যেত যদি সাহিদা-রাজু দম্পত্তি তাঁদের নিয়তি মেনে নিতেন। শিশুরা স্বাভাবিকভাবে বুকের দুধ খেলেও ধীরে ধীরে তাঁদের পেট ফুলে উঠে, বমি শুরু হয়। জন্মের পাঁচ দিন পর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু চৌধুরী সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে একজন চিকিৎসকসহ তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা প্রায় সাড়ে চার হাজার* রোগীর ভীরে সাহিদারা হারিয়ে যায়নি। শিশু সার্জারি বিভাগে চতুর্থ ইউনিট প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাহ্ নূর ইসলামের অধীন জরুরী ভিত্তিতে তাদের চিকিৎসা শুরু হলো।
সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায় অস্ত্রোপচার শেষ হবার প্রায় সাথে সাথেই তোফা তহুরার জ্ঞান ফেরে, তারা কেঁদে উঠে এবং তখনি পা নাড়াতে পারছিল। আইসিউতে নিতে হয়নি, তোফা তহুরা দুজনকে পোস্ট অপারেটিভ এ রাখা হয়। সেখানেই ১০ মাস পর তোফা তহুরার মা বাবা বিস্মিত চোখে তাদের আলাদা হওয়া সন্তানকে দেখেন। দীর্ঘ ৯ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষার পর দেশবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেল
এবার আরেকটু পিছনে যাই, চলে যাই ২০১৫ সালে । গুলিবিদ্ধ শিশু “বেবি অফ নাজমা বেগম” মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় কারিগরপাড়ায় বৃহস্পতিবার এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন অন্তঃসত্ত্বা নাজমা বেগম। গুলি মায়ের পেটের শিশুর শরীরও এফোঁড়-ওফোঁড় করে ফেলে। মাগুরা সদর হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ মা ও পেটের শিশুকে বাঁচাতে প্রথম অস্ত্রোপচার করা হয়।চিকিৎসকদের প্রায় দুই ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচারের পর মায়ের পেট থেকে গুলিবিদ্ধ কন্যাশিশু পৃথিবীর আলো দেখতে পায়।
২০১৫ সালে অপর একটি সাফল্যের ঘটনা : পুষ্টিহীনতার চিকিৎসায় নতুন দিগন্তের আবিষ্কার বাংলাদেশে।
আরও জানতে চলে যেতে পারেন এই লিঙ্কে ঃ পুষ্টিহীনতার চিকিৎসায় নতুন দিগন্তের আবিষ্কার বাংলাদেশে!
আচ্ছা ভাল কথা, ২০১৫ সালে কুকুরে কামড়ানো বেঁচে যাওয়া শিশুটির কথা মনে আছে তো ? রাজধানীর পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় ঝোপ ঝাড়ের মধ্যে নবজাতক শিশুটিকে ঘিরে ছিল কয়েকটি কুকুর। বিষয়টি নজরে আসলে কয়েকজন নারী ঐ নবজাতককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে আসেন। এর আগেই শিশুটির ঠোঁট, নাক ও দুটি আঙুলের আংশিক কুকুরে খেয়ে ফেলে।
সেই শিশুটি এখন সুস্থ। চিকিৎসকরা তার নাম রেখেছে ফাইজা। ফাইজা অর্থ বিজয়। সে মৃত্যুকে জয় করেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অবশেষে সুস্থ হয়ে উঠে সে।
নেতিবাচক ঘটনা না বলতে চাইলেও দুই লাইন লিখে ফেলছি। গত মাসে এক বড় ভাই এবং অধ্যাপকের উপর অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কারন রোগী মারা গেছে।
এই ঘটনার ঠিক এক সপ্তাহ না যেতেই হলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের উপর রোগীর লোক দ্বারা হামলা । রোগীর লোক লাঠি নিয়ে হাসপাতাল টহল দিচ্ছে বাকি ডাক্তার দের মারার জন্য । কারন চিকিৎসাধিন থাকা অবস্থায়ই তার আত্নিয় মারা গেছে।
খবরের কাগজে কিংবা টিভি চ্যানেলের স্ক্রলে বড় বড় অক্ষরে ভেসে ওঠে “চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু কিংবা ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু”
কিন্তু কখনও ভেসে উঠতে দেখি না সহজে “ বাংলাদেশের চিকিৎসকের কারনেই রোগী ফিরে পেল তার জীবন”
চলুন না আমরা জানিয়ে দেই আমাদের সাফল্য গাঁথা নিজ নিজ উদ্যোগে। জানিয়ে দেই কিভাবে শত শত লক্ষ লক্ষ শরণার্থীদের প্রতিদিন সেবা যত্নে রাখছি , কিভাবে দেশের চিকিৎসক সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ঘটনাগুলো বাংলাদেশের সমন্বিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কিছু সাফল্যমাত্র। কিন্তু যেতে হবে বহুদূর।তাই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থেমে নেই, মাঠ পর্যায়ে কাজের পাশাপাশি সর্বোচ্চ পর্যায়েও পৃথিবীর যে কোন দেশের সমান তালে জটিল রোগের চিকিৎসা বাংলাদেশের চিকিৎসকেরা দিচ্ছেন।
আস্থা রাখুন আপনার চিকিৎসকের উপর,
আস্থা রাখুন বাংলাদেশের উপর।
তথ্যসূত্র: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, প্ল্যাটফর্ম, বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্র।
আরও জানতেঃ বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি
তোফা-তহুরা : বাংলাদেশ চিকিৎসকদের সাফল্যগাঁথা
মুক্তামনির প্রথম “সফল” অস্ত্রোপচার : যে চিকিৎসা অসম্ভব বলে জানিয়েছিল সিংগাপুর