প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২০ জুলাই ২০২০
করোনা পরিস্থিতির প্রথম থেকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম এবং অব্যস্থাপনার চিত্র একে একে উঠে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে র্যাবের অভিযানের পর অনিয়ম এবং অব্যস্থাপনার দায়ে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনাকে ঘিরে মেডিকেল কমিউনিটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি বিব্রত অবস্থায় পড়ছে শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ এর বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করা ছাড়াও তাদের শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনার জের ধরে অন্যান্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার মান নিয়েও আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
একথা এক বাক্যে স্বীকার করতে হবে আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাতে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই নগ্ন চিত্র প্রতিদিনই ভেসে উঠছে। এখন প্রশ্ন হলো কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য অব্যস্থাপনার দায় কি আসলে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর বর্তায়?
প্রতি বছর বেসরকারি মেডিকেলগুলোতে অনেক মেধাবীরা ডাক্তার হবার স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হন। মেডিকেল শিক্ষা পদ্ধতির প্রত্যেকটি পরীক্ষা যোগ্যতার সাথে পাশ করেন। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে প্রচুর ডাক্তার বের হচ্ছে এবং কর্মক্ষেত্রে নিজেদের প্রমাণ করছে। বেসরকারি মেডিকেল থেকে পাশ হয়ে বিদেশে প্রতিষ্ঠিত ডাক্তারদের সংখ্যা কম না। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী নিরলস পরিশ্রম করে শিক্ষা অর্জন করেন। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর মেধার সাথে সাথে পারিবারিক অর্থেরও বিনিয়োগ থাকে। গুটিকয়েক দূর্নীতিবাজদের জন্য পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ উভয় প্রশ্নবিদ্ধ এবং ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে নেয়া পদক্ষেপ এর প্রতি সকল শিক্ষার্থী শ্রদ্ধাশীল। তবে কর্তৃপক্ষের ভুলের জন্য বেসরকারি মেডিকেল ছাত্রছাত্রীদের দোষারোপ না করার জন্য সকলের প্রতি শিক্ষার্থীরা আহ্বান জানিয়েছেন