বুধবার, ০৮ জানুয়ারি, ২০২৫
১০০ শয্যার লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড না থাকায় ফ্লোরে ও বারান্দায় ঠাঁই হচ্ছে এসব রোগীদের। এক বেডের বিপরীতে ভর্তি হচ্ছেন তিন-চারজন রোগী। ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে শিশুসহ সব বয়সী রোগী ও স্বজনরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১০০ শয্যার লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল। এ হাসপাতালে শীতের প্রকোপ বাড়ার পর থেকে প্রতিদিনই ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগীরা।গত এক সপ্তাহে শুধু এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ৬০০ এর বেশি রোগী। গড়ে প্রতিদিন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া ওয়ার্ডে ৭০/৮০ রোগী। এসব রোগীসহ প্রতিদিন তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। অথচ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ১৫টি। যেখানে প্রতি বেডে এক শিশু চিকিৎসা নেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে প্রতি বেডে চিকিৎসা নিচ্ছে ৩/৪ শিশু।
এছাড়া মেডিসিন, সার্জারি ও গাইনিসহ প্রতিটি ওয়ার্ডের চিত্র একই। বেড সংকুলন না হওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায় বা ফ্লোরে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ। হাসপাতালের বেডের তুলনায় ৫-৬ গুণ রোগী ভর্তি হচ্ছে। এতে করে অতিরিক্ত রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সরা।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, যতই শীত বাড়ছে,ততই ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সে অনুপাতে বেড নাই। নাই চিকিৎসক ও নার্সও। এ শীতের মধ্যে বারান্দায় বা ফ্লোরে থেকে ছোট-ছোট শিশুদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে করে রোগীর সঙ্গে স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
সদর হাসপাতালে কর্মরত একজন কনসালট্যান্ট বলেন, ঠাণ্ডাজনিত কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এটি সামনে আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় এসব রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। তারপরও চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। সাধ্যমতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সদর হাসপাতালের আরেকজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার বলেন, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় এসব রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। তারপরও চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। সাধ্যমতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ১০০ শয্যার হাসপাতাল হলেও রোগী ভর্তি রয়েছে ৩০০ জন। শুধুমাত্র শীতজনিত রোগে প্রতিদিন গড়ে ৭০/৮০ রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।
প্ল্যাটফর্ম/