প্ল্যাটফর্ম নিউজ, শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১
বৈশ্বিক করোনা মহামারী মারাত্মক রূপ ধারণ করা শুরু করেছে। বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। সারাবিশ্ব করোনার ছোবলে পর্যুদস্ত। বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতিরও ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। দেশজুড়ে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। শনাক্তের হার যেমন বেড়ে চলছে সেরকম বেড়ে চলেছে মৃত্যুহার।
গত ২৪ ঘন্টায় (০ে.০৭.২১) বাংলাদেশে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরো ১১,৩২৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে রেকর্ড ২১২ জন ব্যক্তির, যা গত ১ বছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ক্রমবর্ধমান রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলো। অতিরিক্ত দায়িত্বসমেত প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখসারিতে কাজ করে যাচ্ছেন চিকিৎসক যোদ্ধারা। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিদিনই কোভিড-১৯ আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স, অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ও তাদের পরিবার। কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত শুধু চিকিৎসকই মারা গিয়েছেন ২১৫ জন।
এই মুহূর্তে নতুন কিছু চিকিৎসককে নিয়োগ দিলে এই পরিস্থিতি থেকে অনেকটাই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,
“এমন পরিস্থিতিতে রোগী সামলাতে চিকিৎসকরাও হিমশিম খাচ্ছেন। দেশের প্রায় সব হাসপাতালেই করোনা রোগীর সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। আইসিইউ তো দূরের কথা, কোথাও কোথাও সাধারণ বেড পাওয়াও মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সংকট দেখা দিচ্ছে। এই মুহূর্তে প্রশাসনের উচিৎ ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চিকিৎসকদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়োগ দেওয়া। “
ডা. এবিএম আবদুল্লাহ আরো বলেন,
“সেই ৩৯তম বিসিএস ছিল বিশেষ বিসিএস। যতদূর জানি, লিখিত এবং ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সেই চিকিৎসকরা চূড়ান্ত বাছাই তালিকায় রয়েছেন। শুধুমাত্র নিয়োগ প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলেই তারা কাজ শুরু করতে পারবেন। সুতরাং সরকারের উচিৎ সেই সুযোগটি এখনই কাজে লাগানো। অপেক্ষমান ডাক্তারদের দ্রুত কাজে যোগদানের ব্যবস্থা করে দেওয়া, যেন জাতির এই কঠিন সময়ে তারা তাদের মেধা-মনন দিয়ে সেবা করতে পারেন।”