প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদন,
৩০ মার্চ, ২০২৩, বৃহস্পতিবার,
ভাতাই যখন একমাত্র উপার্জন, কোর্সে থাকাকালীন চাকরী করা যাবে না অন্য কোথাও। এমন যখন অবস্থা, সেই ভাতাও যদি পাওয়া না যায় ৯ মাস ধরে, তখন একজন চিকিৎসক কিভাবে দিনযাপন করেন তা কল্পনা করাও অসম্ভব। এমনই অবস্থায় দিন অতিবাহিত করছেন বিএসএমএমইউ ও সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোর্সে থাকা প্রায় ১৫০০ উচ্চতর শিক্ষার্থী।
বিএসএমএমইউতে দুই বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা, এমফিল ও এমপিএইচ কোর্সে থাকা নন রেসিডেন্ট শিক্ষার্থীদের জন্যে অক্টোবর, ২০২০ সাল হতে ভাতা চালুর ঘোষণা দেয়া হয় যা ২০২০-২২ সেশনে শিক্ষার্থী পূর্ণ পেয়েছেন, কিন্তু ২০২১-২৩ সেশনের শিক্ষার্থীদের ১ বছর পেলেও সর্বশেষ ২০২২-২৪ সেশনের শিক্ষার্থীরা কোন ভাতাই এখন পর্যন্ত পাননি। অর্থাৎ, বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী এসব কোর্সে অধ্যয়নরত আছেন, তারা সবাই গত ৯ মাস ধরে ভাতা ছাড়াই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
কিভাবে চলছে তাদের সংসার, এই দ্রব্যমূল্যের উর্ধবগতিতে একমাত্র উপার্জনের উৎস যখন থাকে না, তখন কিভাবেই বা তারা উচ্চতর শিক্ষায় মনোনিবেশ করবেন আর কিভাবেই যা জনগণের সেবা করবেন। একাধিকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের আর্থিক দুরবস্থার কথা। এমনকি কোর্সের বিভিন্ন ফি ও খরচ দিতেও তাদের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে পরিবারের। এমবিবিএস পাশ করবার পর যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসম্ভব ও লজ্জাজনক।
দীর্ঘদিন এ অচলাবস্থার চলবার পর বাধ্য হয়েই নন রেসিডেন্টরা গত ২৯ মার্চ অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে গত ২৯ মার্চ, ২০২৩ বিএসএমএমইউ তে আয়োজিত এক সভায় ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দীন আহমদ দ্রুততম সময়ে এ সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি সাত দিনের মধ্যে বিল জমা দিতে বলেন এবং ১৫ দিনের মধ্যেই নন রেসিডেন্টরা তাদের প্রাপ্য ভাতা পেয়ে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ২০০০০ টাকা একজন উচ্চতর শিক্ষার্থীর ভাতা হিসেবে অনেক কম বলে তিনি স্বীকার করেন এবং ভবিষ্যতে ভাতা বৃদ্ধির জন্যে তিনি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এবং এই নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান।
প্ল্যাটফর্ম অব মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল সোসাইটি এর পক্ষ হতে নন রেসিডেন্টসহ সকল পোস্টগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের প্রাপ্য ভাতা দ্রুততম সময়ের মাঝে পেয়ে যান এবং ভবিষ্যতে তারা যাতে তাদের উপযুক্ত মর্যাদা পান তার আশাবাদ ব্যক্ত করে।
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদক